নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল হয়ে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সরকারকে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষায় এমনটি উঠে এসেছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত বরিশালের ভেতর দিয়ে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দরের ২১৪ দশমিক ৯১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের জন্য ৪০ হাজার ৭০১ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে নিচু জমির ওই রুটে ২৫ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইন তৈরি করতে চাইলে প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৪৪ হাজার ৪৯৭ কোটিরও বেশি টাকা। এলিভেটেড লাইনের জন্য উঁচু বাঁধ তৈরি করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সোমবার রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে প্রকল্প কর্মকর্তা ও পরামর্শকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ওই প্রকল্পের বিস্তারিত উপস্থাপনের সময় এসব তথ্য জানা গেছে। দেশের একমাত্র বরিশাল বিভাগেই কোনো রেল যোগাযোগ নেই। এ বিভাগে ৬ টি জেলা আছে। পুরো দেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এবং বর্তমানে নির্মাণাধীন পায়রাসমুদ্র বন্দর ও রাজধানী ঢাকার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের অংশ হিসেবে ভাঙ্গা থেকে পায়রা পর্যন্ত একটি রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ভাঙ্গা ইতোমধ্যে ফরিদপুর থেকে রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের আওতায় আছে। এ প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হলে সরাসরি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ হবে। সরকার ২০১৬ সালে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশদ নকশাসহ দরপত্র প্রস্তুত করে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালানোর জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ রেলওয়ে কেবল এ বছর জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দোহা, স্পেনের টিওয়াইপিএসএ ও বাংলাদেশ ডিডিসির একটি যৌথ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরেছে। পরে এ প্রকল্পের সময়সীমা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’
Leave a Reply